অ্যান্টার্কটিকা হল পৃথিবীর সর্বদক্ষিণে অবস্থিত মহাদেশ। ভৌগোলিক দক্ষিণ মেরু এই মহাদেশের অন্তর্গত। দক্ষিণ গোলার্ধের অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে প্রায় সামগ্রিকভাবেই কুমেরু বৃত্তের দক্ষিণে অবস্থিত এই মহাদেশটি দক্ষিণ মহাসাগর দ্বারা পরিবেষ্টিত। ১,৪২,০০,০০০ বর্গকিলোমিটার (৫৫,০০,০০০ বর্গমাইল) আয়তন-বিশিষ্ট অ্যান্টার্কটিকা পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম মহাদেশ এবং আয়তনে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের প্রায় দ্বিগুণ। অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশটি এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সর্বনিম্ন জনবসতিপূর্ণ মহাদেশ। এই মহাদেশের জনঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ০.০০০০৮ জন। অ্যান্টার্কটিকার ৯৮% অঞ্চল গড়ে ১.৯ কিমি (১.২ মা; ৬,২০০ ফু) পুরু বরফে আবৃত। অ্যান্টার্কটিক উপদ্বীপের উত্তরপ্রান্তে অবস্থিত অংশগুলি বাদ দিয়ে সর্বত্রই এই বরফের আস্তরণ প্রসারিত।
সামগ্রিকভাবে অ্যান্টার্কটিকা হল পৃথিবীর শীতলতম, শুষ্কতম এবং সর্বাধিক ঝটিকাপূর্ণ মহাদেশ। বিশ্বের সকল মহাদেশের মধ্যে এই মহাদেশটির গড় উচ্চতা সর্বাধিক। আন্টার্কটিকার অধিকাংশ অঞ্চলই একটি মেরু মরুভূমির অন্তর্গত। এই মহাদেশের উপকূলভাগে এবং উপকূল-সমীপস্থ অঞ্চলগুলিতে বার্ষিক পরিচলন বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২০ সেমি (৭.৯ ইঞ্চি)। অ্যান্টার্কটিকার তাপমাত্রা −৮৯.২ °সেন্টিগ্রেড (−১২৮.৬ °ফারেনহাইট) পর্যন্ত (অথবা মহাকাশ থেকে পরিমাপকৃত হিসাব অনুযায়ী, −৯৭.৭ °সেন্টিগ্রেড অর্থাৎ −১৩৫.৮ °ফারেনহাইট পর্যন্ত) নামতে পারে। যদিও মহাদেশের তিন-চতুর্থাংশ অঞ্চলের (বছরের শীতলতম অংশ) গড় তাপমাত্রা −৬৩ °সেন্টিগ্রেড (−৮১ °ফারেনহাইট)। সমগ্র মহাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা গবেষণা কেন্দ্রগুলিতে সারা বছরই ১,০০০ থেকে ৫,০০০ লোক বসবাস করে। এখানকার স্থানীয় জীবজগতের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের শৈবাল, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, উদ্ভিদ, প্রোটিস্ট এবং মাইট, নেমাটোডা, পেঙ্গুইন, সিল ও টারডিগ্রেড বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর নাম উল্লেখযোগ্য। অ্যান্টার্কটিকের তুন্দ্রা অঞ্চলেই গাছপালা দেখা যায়।
বিশ্বের নথিবদ্ধ ইতিহাসে অ্যান্টার্কটিকাই হল সর্বশেষ আবিষ্কৃত অঞ্চল। ১৮২০ সালে ভস্তক ও মার্নি নামে দুই রাশিয়ান রণতরীর অভিযাত্রী ফেবিয়ান গোটলিয়েব ফন বেলিংশসেন ও মিখাইল লাজারেভ কর্তৃক ফিমবুল তুষার সোপান আবিষ্কারের পূর্বে এই মহাদেশটির অস্তিত্বের কথা কেউই জানত না। অবশ্য ঊনবিংশ শতাব্দীর পরবর্তী পর্যায়েও প্রতিকূল পরিবেশ, সহজলভ্য প্রাকৃতিক সম্পদের অভাব ও দুর্গমতার কারণে এই মহাদেশটি মোটামুটি উপেক্ষিতই ছিল। ১৮৯৫ সালে নরওয়েজীয় অভিযাত্রীদের একটি দলই প্রথম এই মহাদেশে অবতরণ করে বলে নিশ্চিতভাবে জানা যায়।
অ্যান্টার্কটিকা একটি ডি ফ্যাক্টো কন্ডোমিনিয়াম। অ্যান্টার্কটিকা চুক্তি অনুযায়ী ‘কনসাল্টিং’ মর্যাদাপ্রাপ্ত পক্ষগুলির দ্বারা এই মহাদেশ শাসিত হয়। ১৯৫৯ সালে বারোটি দেশ এবং তারপর আরও আটত্রিশটি দেশ এই চুক্তিতে সাক্ষর করেছিল। এই চুক্তির দ্বারা অ্যান্টার্কটিকায় সামরিক কার্যকলাপ, খনিজ উত্তোলন, পারমাণবিক বিস্ফোরণ ও পারমাণবিক বর্জ্য নিক্ষেপ নিষিদ্ধ করা হয়, বৈজ্ঞানিক গবেষণার পৃষ্ঠপোষকতা করা হয় এবং সমগ্র মহাদেশের জৈবভৌগোলিক ক্ষেত্রটি রক্ষা করা হয়। বর্তমানে বিভিন্ন দেশের চার হাজারেরও বেশি বৈজ্ঞানিক এই মহাদেশে গবেষণায় রত।
নাম-ব্যুৎপত্তি
অ্যান্টার্কটিকা নামটি প্রকৃতপক্ষে গ্রিক যৌগিক শব্দ আন্তার্কতিকে-এর রোমান রূপ। এই শব্দটি গ্রিক আন্তার্কতিকোস শব্দটির স্ত্রীলিঙ্গবাচক প্রতিশব্দ, যার অর্থ "আর্কটিকের বিপরীত" বা "উত্তরের বিপরীত"।
আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০ অব্দ নাগাদ অ্যারিস্টটল তাঁর মেতেওরোলজিকা গ্রন্থে একটি অ্যান্টার্কটিক অঞ্চল-এর কথা উল্লেখ করেন। কথিত আছে, খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীতে তিরের মারিনোস তাঁর অসংরক্ষিত বিশ্ব মানচিত্রে এই নামটি ব্যবহার করেছিলেন। রোমান লেখক হাইজিনাস ও এপুলিয়াস (খ্রিস্টীয় প্রথম-দ্বিতীয় শতাব্দী) দক্ষিণ মেরু অর্থে রোমানীকৃত গ্রিক পোলাস আন্তার্কতিকাস নামটিকে গ্রহণ করেন। এই নামটি থেকে ১২৭০ সালে প্রাচীন ফরাসি পোলে আন্তার্তিকে নামটির উদ্ভব ঘটে। এই ফরাসি শব্দটি থেকে ১৩৯১ সালে জিওফ্রে চসার একটি পরিভাষাগত সনদে মধ্য ইংরেজি পোল আন্টার্কটিক নামটি গ্রহণ করেন।
বর্তমান ভৌগোলিক নামটি অর্জনের আগে এই শব্দটি "উত্তরের বিপরীত" অর্থে একাধিক স্থানের নাম হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ষোড়শ শতাব্দীতে ব্রাজিলে স্থাপিত স্বল্পকাল স্থায়ী ফরাসি উপনিবেশটিকে বলা হত "ফ্রান্স আন্তার্কতিকে"।
১৮৯০-এর দশকে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে একটি মহাদেশের নাম হিসাবে "অ্যান্টার্কটিকা শব্দটি ব্যবহৃত হয়। স্কটিশ মানচিত্রাঙ্কনবিদ জন জর্জ বার্থেলোমিউকে এই নামকরণের হোতা বলে মনে করা হয়।
আবিষ্কারের ইতিহাস
অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের কোন স্থায়ি অধিবাসী নেই এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর পূর্ব পর্য্যন্ত কোন মানুষ এই স্থানকে দেখেছিলেন বলে কোন প্রমাণ নেই। এতৎসত্ত্বেও প্রথম শতাব্দী থেকেই একটি বিশ্বাস প্রচলিত ছিল যে, পৃথিবীর দক্ষিণে টেরা অস্ট্রালিস নামক এক বিশাল মহাদেশ উপস্থিত থাকতে পারে। টলেমি মনে করতেন যে, ইউরোপ, এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকা নিয়ে গঠিত তৎকালীন যুগে পরিচিত পৃথিবীর ভূমিসমষ্টির সামঞ্জস্য রক্ষার জন্য এই মহাদেশ দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। এমনকি সপ্তদেশ শতাব্দীর শেষার্ধে অভিযাত্রীরা দক্ষিণ আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কারের পর যখন জানা যায়, এই দুইটি মহাদেশ প্রবাদ হিসেবে প্রচলিত অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের অংশ নয়, তখনও ভৌগোলিকরা বাস্তবের থেকে দ্বিগুণ আকারের মহাদেশের অস্তিত্বের কথা বিশ্বাস করতেন।
অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কারের পর এই মহাদেশের নামকরণ টেরা অস্ট্রালিস শব্দটি থেকে করা হয়, কারণ তখন ম্যাথিউ ফ্লিন্ডার্স নামক অভিযাত্রী সহ বেশ কিছু মানুষ মনে করতেন অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণে উল্লেখযোগ্য মাপের কোন মহাদেশ পাওয়া সম্ভব নয়। সেই কারণে অ্যান্টার্কটিকার প্রবাদের সঙ্গে প্রচলিত হলেও টেরা অস্ট্রালিস নামটি এই মহাদেশের নামের সঙ্গে যুক্ত হয়নি।
অ্যান্টার্কটিকা চুক্তি
১৯৫৯ সালে ১২টি দেশের মধ্যে অ্যান্টার্কটিকা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়; যাতে বর্তমানে ৪৬টি দেশ স্বাক্ষর করেছে। এ চুক্তির মাধ্যমে অ্যান্টার্কটিকায় সামরিক কর্মকান্ড এবং খনিজ সম্পদ খনন নিষিদ্ধ, বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে সহায়তা এবং মহাদেশটির ইকোজোন সুরক্ষিত করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের ৪,০০০ এরও বেশি বিজ্ঞানী অ্যান্টার্কটিকায় বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন।
পর্যটন
অ্যান্টার্কটিকা অনন্য এবং গ্রহের সবচেয়ে নিখুঁতভাবে সংরক্ষিত অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি। অ্যান্টার্কটিকার পর্যটন শুরু হয়েছিল ১৯৬০ সালে। বিমান ও প্রমোদতরী অ্যান্টার্কটিকা ভ্রমনের অন্যতম মাধ্যম। বেশ কিছু ট্রাভেল এজেন্সি পরিবেশ বিধি মেনে অ্যান্টার্কটিকায় ভ্রমণ পরিচালনা করে থাকে। অ্যান্টার্কটিকায় পর্যকটরা আশ্চর্যজনক দৃশ্যাবলী ও হিমশীতল উত্তেজনা উপভোগ করেন।
আরও কিছু তথ্য
- আন্টার্কটিকায় কাজ করতে গেলে শরীর থেকে বাদ দিতে হবে আক্কেল দাঁত ও অ্যাপেনডিক্স। এ মহাদেশে শল্যচিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। সুতরাং এখানে আসার আগেই ওই দুটির মায়া কাটিয়ে আসতে হবে।
- আন্টার্কটিকা মহাদেশের ড্রাই ভ্যালি অঞ্চল পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে শুকনো এলাকা বলে চিহ্নিত।
- বেশ কিছু দেশের মতো যেমন বাংলাদেশের .bd অস্ট্রেলিয়ার .au বা জার্মানির .de অথবা ভারতের .in, আন্টার্কটিকারও নিজস্ব ডোমেইন রয়েছে। তুষার রাজ্যের ডোমেইন হল .aq।
- ৫.৩ কোটি বছর আগে আন্টার্কটিকার আবহাওয়া যথেষ্ট উষ্ণ ছিল। সেই সময় এখানকার গড় তাপমান ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখানে সমুদ্রের তীর বরাবর পামগাছের সারি দেখা যেত।
- বিশ্বখ্যাত মার্কিন হেভি মেটাল রকব্যান্ড মেটালিকা আন্টার্কটিকায় পারফর্ম করেছিল। তাদের জনপ্রিয় গান Freeze ‘Em All-এর শ্যুটিং হয়েছিল চিরতুষারের দেশে। উল্লেখ্য, মাত্র এক বছরে বিশ্বের সাতটি মহাদেশে অনুষ্ঠান করে নজির গড়ে মেটালিকা।
- আন্টার্কটিকাতেও রয়েছে পরমাণু চুল্লি। ১৯৬২ সাল থেকে এ মহাদেশের বুকে কাজ করে চলেছে মার্কিন পরমাণু চুল্লি ম্যাকমার্ডো স্টেশন।
- আন্টার্কটিকার নিজস্ব দমকল বিভাগ রয়েছে। ম্যাকমার্ডো স্টেশনের ভেতরেই এ দপ্তর। আগুন নেভাতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি এবং পেশাদার দমকলকর্মীরা আছেন এখানে।
- চরম আবহাওয়া থাকা সত্ত্বেও আন্টার্কটিকায় পাওয়া যায় ১ হাজার ১৫০ প্রজাতির ছত্রাক। বেশ কিছু প্রজাতি রীতিমতো নজরকাড়া। আসলে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আবহাওয়াতেও নিজেদের অনায়াসে খাপ খাইয়ে নিতে পারে ছত্রাক।
- বিশ্বের প্রতিটি টাইমজোন পাওয়া যায় আন্টার্কটিকায়। পৃথিবীর দুই মেরুতে এসে মিলেছে সময় বিভাজনকারী দ্রাঘিমা রেখা। স্বাভাবিকভাবেই এখানে রয়েছে দুনিয়ার সমস্ত টাইমজোনের উপস্থিতি।
- আন্টার্কটিকায় পোলার বিয়ার অর্থাৎ মেরু-ভালুক বাস করে না। এদের বসতি আর্কটিক অঞ্চল অথবা কানাডায়।
- আন্টার্কটিকায় রয়েছে বিশ্বের দক্ষিণতম পানশালাটি। শীতলতম অবস্থানে একটু উষ্ণ হতে চাইলে ভার্নার্ডস্কাই গবেষণা কেন্দ্র লাগোয়া এই বার-ই ভরসা।
- পৃথিবীর বুকে শীতলতম তাপমাত্রা নথিভুক্ত হয়েছিল আন্টার্কটিকাতেই। ১৯৮৩ সালের ২১ জুলাই আন্টার্কটিকার ভস্তক স্টেশনে রেকর্ড হওয়া তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১২৮.৫৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট অর্থাৎ, মাইনাস ৮৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
- আন্টার্কটিকা পৃথিবীর পঞ্চম বিশালতম মহাদেশ। এর মোট এলাকা ১.৪ কোটি বর্গ কিলোমিটার।
- আন্টার্কটিকার ১৪.৯৯ শতাংশ অঞ্চল বরফে মোড়া। একাধিক হিমবাহের নিচে চাপা পড়েছে মহাদেশের জমি। তুষারের এই স্তরকে বলা হয় বরফ চাদর।
- আন্টার্কটিকার কঠিন বরফ চাদরের গড়ে প্রায় ১.৬ কিলোমিটার পুরু। পৃথিবীর মিষ্টি জলভাণ্ডারের প্রায় ৭০ শতাংশই আন্টার্কটিকায় অবস্থিত।
- আন্টার্কটিকার মাঝে রয়েছে ট্র্যান্সআন্টার্কটিক পর্বতশ্রেণি যা মহাদেশকে পূর্ব ও পশ্চিম অংশে ভাগ করেছে। কেপ অ্যাডেয়ার থেকে কোটসল্যান্ড পর্যন্ত এই পর্বতশ্রেণির মোট বিস্তৃতি ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার।
- ১৮২০ সালে আবিষ্কার হওয়ার আগে পর্যন্ত আন্টার্কটিকাকে দ্বীপপুঞ্জ হিসেবে মনে করা হতো।
- নরওয়ের বাসিন্দা রোয়াল্ড আমুন্ডসেন প্রথম মানুষ যিনি দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছেছিলেন। ব্রিটিশ অভিযাত্রী রবার্ট স্কটকে পেছনে ফেলে এ মহাদেশে তিনি পৌঁছেন ১৯১১ সালের ১৪ ডিসেম্বর।
- ১৯৫৯ সালে ১২টি দেশ আন্টার্কটিকা চুক্তি সই করে। চুক্তি অনুসারে, এ মহাদেশকে শান্তিপূর্ণ গবেষণামূলক কাজের জন্য উৎসর্গ করা হয়। বর্তমানে মোট ৪৮টি দেশ এই চুক্তির শরিক।
- ১৯৭৯ সালের জানুয়ারি মাসে আন্টার্কটিকায় জন্মগ্রহণ করে প্রথম মানবশিশু এমিলিও মার্কো পামা। এ নিয়ে তৈরি হয় নানা বিতর্ক। অভিযোগ, তুষারভূমির একাংশ দখল করার উদ্দেশ্যে এক সন্তানসম্ভবাকে আন্টার্কটিকায় পাঠিয়েছিল আর্জেন্টিনা।