কেন্টাকি হিস্ট্রি মিউজিয়ামে সংরক্ষিত সেই অভিশপ্ত সিন্দুক |
আমেরিকার গৃহযুদ্ধের (১৮৬১ থেকে ১৮৬৫) ২০ বছর আগের ঘটনা। জ্যাকব কুলি নামের এক লোক তার অনাগত সন্তানের জন্য একটি সিন্দুক তৈরি করতে চাইলেন। জ্যাকব ছিলেন বেশ ধনী। তার অনেক দাস ছিল। সিন্দুক তৈরির জন্য তিনি আফ্রিকান-আমেরিকান দাস হোসিয়াকে নির্দেশ দিলেন।
হোসিয়া কাঠ খোদাই করে সিন্দুক বানালেন। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে জ্যাকবের সেটি পছন্দ হল না। তিনি দাসকে পিটিয়ে মেরে ফেললেন। জ্যাকবের অন্যান্য দাস অর্থাৎ হোসিয়ার বন্ধুরা এই ঘটনার প্রতিশোধ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।
তারা সিন্দুকের ভেতরের একটি ড্রয়ারে পেঁচার রক্ত ছড়িয়ে দিলেন। ব্ল্যাক-ম্যাজিক প্রয়োগে মেরে ফেলা হয়েছিল ওই পেঁচাটিকে। এর মাধ্যমে জ্যাকবের পরবর্তী প্রজন্মের যে বা যারা সিন্দুকের সংস্পর্শে আসবে তারা সবাই মর্মান্তিক পরিণতি বরণ করবে।
জ্যাকব যে অনাগত সন্তানের জন্য সিন্দুকটি বানিয়েছিলেন, শিশুটি জন্মের পরপরই মারা যায়। এরপর সিন্দুক নিয়ে যান জ্যাকবের ভাই। তিনি তারই এক গৃহকর্মীর ছুরিকাঘাতে মারা যান। জ্যাকবের আরেক ছেলে জন ও তার স্ত্রী এলি এই সিন্দুকের দখল নেন। জ্যাকবের এক মেয়ে মেলিন্ডা পালিয়ে গিয়েছিলেন সিন নামের এক আইরিশ ব্যক্তির সঙ্গে। কিন্তু সিনের ছন্নছাড়া স্বভাবের কারণে কিছুদিনের মধ্যেই মেলিন্ডার সঙ্গে তার দাম্পত্য কলহ তৈরি হয়।
পরে ভাইয়ের কাছে ফিরে যান মেলিন্ডা। জনের স্ত্রী এলি সিন্দুকটি মেলিন্ডাকে উপহার দেন। এটা এতদিন এলির কাছেই ছিল কিন্তু অশুভ কিছু হয়নি। হঠাৎই মেলিন্ডা অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। মাত্র ৩০ বছর বয়সে মেলিন্ডার চুল ধূসর বর্ণ ধারণ করে। তিনি মারা যান।
মেলিন্ডা মারা যাওয়ার কিছু পরেই তার স্বামী একটি বাষ্পচালিত নৌকার সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাথায় আঘাত পান। গুরুতর আঘাতে মৃত্যুবরণ করেন। মেলিন্ডা ও সিনের অনাথ মেয়ে এভেলিনকে জন বড় করেন। এলি এবার সিন্দুকটি এভেলিনের বিয়েতে উপহার হিসেবে দান করেন।
এভেলিনের বাড়িতে সিন্দুক থাকার সময়ে কিছুই ঘটেনি। এভেলিন ও তার স্বামী ম্যালকম জনসনের নিজেদের সন্তানের সঙ্গে এক দত্তক মেয়েও ছিল। তার নাম আরাবেলা। আরাবেলার যখন বিয়ে হল, তখন তার মা এভেলিন মেয়ের বিয়ের পোশাক সেই সিন্দুকে করেই পাঠিয়েছিলেন।
একদিন হঠাৎ আরাবেলার স্বামী মারা গেলেন। আরাবেলা তার শিশুসন্তানের পোশাক রেখেছিলেন সিন্দুকে। শিশুটিও মারা যায়। এভেলিনের বড় ছেলের বউ একই সিন্দুকে তার পোশাক রাখেন। তিনিও মারা যান।
এরপর সিন্দুকটি যিনিই ব্যবহার করেছেন, করুণ পরিণতির শিকার হয়েছেন। এভেলিনের নাতনি ক্যারি হাডসন তার প্রথম সন্তান হারান, যখন সিন্দুকে শিশুটির কাপড় রাখা হয়। তার আরেক সন্তানের কাপড় ওখানে রাখার পর সে প্যারালাইজড হয়ে যায়।
ক্যারি এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে চাইছিলেন। সিন্দুকটি অভিশাপমুক্ত করতে তিনি তার এক অ্যাফ্রো-আমেরিকান বান্ধবী এনিকে ডেকে নিয়ে আসেন, তিনি জাদুবিদ্যা জানতেন। শেষ পর্যন্ত তিনিও মারা যান।
ক্যারির মেয়ে ভার্জিনিয়া সিন্দুকটি কেন্টাকির একটি জাদুঘরে দিয়ে দেন। সতেরোটি প্রাণ সংহারের পর এর অশুভ যাত্রা শেষ হয়। বর্তমানে এটি কেন্টাকি হিস্ট্রি মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে।
হোসিয়া কাঠ খোদাই করে সিন্দুক বানালেন। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে জ্যাকবের সেটি পছন্দ হল না। তিনি দাসকে পিটিয়ে মেরে ফেললেন। জ্যাকবের অন্যান্য দাস অর্থাৎ হোসিয়ার বন্ধুরা এই ঘটনার প্রতিশোধ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।
তারা সিন্দুকের ভেতরের একটি ড্রয়ারে পেঁচার রক্ত ছড়িয়ে দিলেন। ব্ল্যাক-ম্যাজিক প্রয়োগে মেরে ফেলা হয়েছিল ওই পেঁচাটিকে। এর মাধ্যমে জ্যাকবের পরবর্তী প্রজন্মের যে বা যারা সিন্দুকের সংস্পর্শে আসবে তারা সবাই মর্মান্তিক পরিণতি বরণ করবে।
জ্যাকব যে অনাগত সন্তানের জন্য সিন্দুকটি বানিয়েছিলেন, শিশুটি জন্মের পরপরই মারা যায়। এরপর সিন্দুক নিয়ে যান জ্যাকবের ভাই। তিনি তারই এক গৃহকর্মীর ছুরিকাঘাতে মারা যান। জ্যাকবের আরেক ছেলে জন ও তার স্ত্রী এলি এই সিন্দুকের দখল নেন। জ্যাকবের এক মেয়ে মেলিন্ডা পালিয়ে গিয়েছিলেন সিন নামের এক আইরিশ ব্যক্তির সঙ্গে। কিন্তু সিনের ছন্নছাড়া স্বভাবের কারণে কিছুদিনের মধ্যেই মেলিন্ডার সঙ্গে তার দাম্পত্য কলহ তৈরি হয়।
পরে ভাইয়ের কাছে ফিরে যান মেলিন্ডা। জনের স্ত্রী এলি সিন্দুকটি মেলিন্ডাকে উপহার দেন। এটা এতদিন এলির কাছেই ছিল কিন্তু অশুভ কিছু হয়নি। হঠাৎই মেলিন্ডা অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। মাত্র ৩০ বছর বয়সে মেলিন্ডার চুল ধূসর বর্ণ ধারণ করে। তিনি মারা যান।
মেলিন্ডা মারা যাওয়ার কিছু পরেই তার স্বামী একটি বাষ্পচালিত নৌকার সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাথায় আঘাত পান। গুরুতর আঘাতে মৃত্যুবরণ করেন। মেলিন্ডা ও সিনের অনাথ মেয়ে এভেলিনকে জন বড় করেন। এলি এবার সিন্দুকটি এভেলিনের বিয়েতে উপহার হিসেবে দান করেন।
এভেলিনের বাড়িতে সিন্দুক থাকার সময়ে কিছুই ঘটেনি। এভেলিন ও তার স্বামী ম্যালকম জনসনের নিজেদের সন্তানের সঙ্গে এক দত্তক মেয়েও ছিল। তার নাম আরাবেলা। আরাবেলার যখন বিয়ে হল, তখন তার মা এভেলিন মেয়ের বিয়ের পোশাক সেই সিন্দুকে করেই পাঠিয়েছিলেন।
একদিন হঠাৎ আরাবেলার স্বামী মারা গেলেন। আরাবেলা তার শিশুসন্তানের পোশাক রেখেছিলেন সিন্দুকে। শিশুটিও মারা যায়। এভেলিনের বড় ছেলের বউ একই সিন্দুকে তার পোশাক রাখেন। তিনিও মারা যান।
এরপর সিন্দুকটি যিনিই ব্যবহার করেছেন, করুণ পরিণতির শিকার হয়েছেন। এভেলিনের নাতনি ক্যারি হাডসন তার প্রথম সন্তান হারান, যখন সিন্দুকে শিশুটির কাপড় রাখা হয়। তার আরেক সন্তানের কাপড় ওখানে রাখার পর সে প্যারালাইজড হয়ে যায়।
ক্যারি এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে চাইছিলেন। সিন্দুকটি অভিশাপমুক্ত করতে তিনি তার এক অ্যাফ্রো-আমেরিকান বান্ধবী এনিকে ডেকে নিয়ে আসেন, তিনি জাদুবিদ্যা জানতেন। শেষ পর্যন্ত তিনিও মারা যান।
ক্যারির মেয়ে ভার্জিনিয়া সিন্দুকটি কেন্টাকির একটি জাদুঘরে দিয়ে দেন। সতেরোটি প্রাণ সংহারের পর এর অশুভ যাত্রা শেষ হয়। বর্তমানে এটি কেন্টাকি হিস্ট্রি মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে।