রিয়াজ রিপন
দ্বীপ শব্দটি মাথায় এলেই মনের মধ্যে প্রথমেই ভেসে ওঠে কোনো রোমাঞ্চকর এক জায়গার কথা। আর দ্বীপটা যদি হয় ভাসমান, তবে তা বেশ অদ্ভুত ব্যাপারই বটে।
দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম দেশ আর্জেন্টিনা। এ দেশের উত্তর-পূর্ব দিকে রয়েছে এক বিশাল জলাশয়। সেখানে এমন একটি দ্বীপের সন্ধান পাওয়া গেছে যা সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।
আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনোস আইরেস। এটি একটি বৃহত্তম শহর ও বন্দর। বুয়েনোসের চাম্পানা ও জারাতে শহর দুটির মাঝে পারানা ডেল্টা নদীর পাশেই বিচিত্র দ্বীপটির অবস্থান। দেখতে চোখের মতো।
তাই দ্বীপটির একটি সুন্দর নামকরণও হয়েছে- দ্য আই।
অনেকের কাছে এ নামেই পরিচিত। দূর আকাশ থেকে এটি চোখের মতোই লাগে। ১৩০ গজ ব্যাসের গোলাকার দ্বীপটি প্রকৃতির এক বিচিত্র সৌন্দর্য ধারণ করছে। শুধুই গোলাকার বললে ভুল হবে, এটি পরিপূর্ণ বৃত্ত।
চারপাশ দিয়ে সরু পানির জলপথ। ঠাণ্ডা ও পরিষ্কার পানির নিচে কী রয়েছে তা জানতে এবং দ্বীপটি দেখার জন্য পরিচালক সেরজিও নেউসপিল্লারম ও সঙ্গে দুজন গবেষক সেখানে এক অভিযান চালান। বিচিত্র ভূখণ্ডে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় তারা যা বুঝতে পারেন তা হল, এটি একটি আজব দ্বীপ।
একটি অদ্ভুত ব্যাপার হল এই দ্বীপটি নিজ বৃত্তাকার অক্ষের মধ্যে আবর্তন করে। দ্বীপের এমন আবর্তনের রহস্য এখনও বিজ্ঞানীরা ভেদ করতে পারেননি।
সেরজিও নেউসপিল্লারম আর্জেন্টিনার একজন চিত্রপরিচালক। তার প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করার জন্য একটি দ্বীপ খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন। গুগল আর্থ ম্যাপে অনুসন্ধান করার সময় তিনি হঠাৎ এমন এক আজব ভূখণ্ড দেখতে পান যা তাকে বিস্মিত করে।
তার সংস্থা ও নিউইয়র্কের একদল গবেষক মিলে এর রহস্যের অনুসন্ধান করতে থাকেন। পরে তারা সন্ধান নিয়ে দেখেন স্বল্প সরু জলপথে বেষ্টিত বৃত্তাকার দ্বীপটি ভাসমান। ভাসমান থাকার পাশাপাশি এই নির্জন স্থানটি কিছুটা নড়াচড়াও করে।
দ্বীপটি ঘুরে এসে নিউইয়র্কের হাইড্রলিক ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ার রিচার্ড পেট্রনি বলেন, ‘আমরা একটি বিচিত্র দ্বীপের সন্ধান পেয়েছি পারানা নদীর পাশে যা অদ্ভুতভাবে নিজ অক্ষে ঘোরে।’
পৃথিবীতে কতই না বিচিত্র বিষয় রয়েছে, আর যেগুলোর নিয়মিত সন্ধান মিলছে মানুষের কাছে সেগুলো রীতিমতো সবাইকে ভাবিয়েও তুলছে।